সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটন তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনাতলা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দফতরে সরকারী বরাদ্দ জোরপূর্বক উৎকোষের বিনিময়ে সেচ্ছাচারিতাভাবে বন্টন করেন এবং টাকার বিনিময়ে তার দলীয় ক্যাডার বাহিনি ব্যবহার করে সোনাতলা উপজেলা গাঁড়ামারা গ্রামে ছাখাওয়াত হোসেন মন্ডলের পুকুরে ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার মাছ লুট করে। সে ঘটনা সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বাদি অভিযোগ করেন এবং পরবর্তীতে সেটি মামলাও হয়েছে। তার গ্রাম বালুয়াহাট পাতিলাকুড়া গ্রামে সরকার খাস সম্পত্তি অসহায় গরিব মানুষদের মাঝে লিজ দেয়। সে সব অসহায় গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে তার জমি দখল করে ১০০ বিঘার উপরে পুকুর বানিয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে এসব সত্যতা বেরিয়ে আসবে। এই লীটন একজন উকিল। তিনি বগুড়ায় আলোচিত ৩০ আসামীর জামিন জালিয়াতি করে এবং হাইকোর্ট- সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটকে শোকচ করে। এই ঘটনায় বগুড়ায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত ০৩ নিভেম্বর সোনাতলার জনপ্রিয় পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে তার পরিবারের অজান্তে তার সঙ্গীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী বিষ্ণু ও কামরুজ্জামানকে দিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করিয়ে মেয়র নান্নু সাহেবের নিম্ন আদালতে জামিনে বাধাগ্রস্থ করে। শুধু তাই নয় মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে বগুড়া জেলা জজ কোর্টে অসৎ কর্মকর্তাদের জোগসাজসে বিভিন্ন তারিখে জাবেদা উত্তোলন করে মহামান্য হাইকোর্টে বিতর্কিত উকিলকে দিয়ে জামিনের শুনানী করে এবং জামিন না মঞ্জুর করে নেয়। মেয়রের মৌলিক অধিকার স্বাভাবিক জামিনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরার ষড়যন্ত্র করে। বিষয়টি জরুরীভাবে তদন্তের মহোদয় আশু দৃষ্টি কামনা করছি।
মহোদয়, এই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটনের সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ দৃশ্যমান। অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। এলাকায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। মুখ খুললেই তাকে মিথ্যা মামলায় পড়তে হয়।
ক) তিনি সোনাতলা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজে, অধ্যক্ষ্য হিসাবে প্রায় ২০ বছর ধরে জোরপূর্বক আগলে রেখেছেন। তিনি একজন এ্যাডভোকেট। রাষ্ট্রিয় বিধি মোতাবেক কোন আইন বিষয়ে ডিহিষ্প্রাপ্ত কোন ব্যাক্তি কলেজ বিভাগে অধ্যক্ষ্য হতে পারবে না। যাহা সুস্পষ্ট বিধি বহির্ভূত এবং বেআইনি। তার ইনডেক্স এখনও করতে পারিনি। তারপরও তিনি ক্ষমতার দাপটে অধ্যক্ষ্য হয়ে আছেন এবং তিনি কলেজের সকল ফান্ডের টাকা অনিয়ম আত্মসাৎ করছেন। সঠিক তদন্ত এবং অনুসন্ধান করলেই সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
খ) বাংলাদেশ স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে স্পষ্ট বলা আছে কোন বিদেশী পাসপোর্টধারী ব্যাক্তি দেশের প্রচলিত আইনে জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। সেখানেও তিনি দেশের আইনকে বৃদ্ধঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি একজন আমেরিকান নাগরিক এবং আমেরিকান পাসপোর্টধারী। তার পাসপোর্ট তলব করলেই সব সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
মহেদয় রাষ্ট্রের স্বার্থে সঠিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটনের পাসপোর্ট তলব এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজে তার ইনডেক্স তলব করে, তা দুদকের হেফাজতে সংরক্ষণ করে, অধিকতর তদন্ত পূর্বক আইনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে জনস্বার্থে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সমাজকে দূর্নিতিমুক্ত করতে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী আহ্বান জানান।