আজ সন্ধ্যায় বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায়, বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ফোরাম এবং বড় লেখা উপজেলা বিএনপি’র উদ্যোগে — দুবাই নাগরিক অধিকার ফোরাম এর আহবায়ক মরহুম ইমরান মাহমুদ এর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । এ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার। বড় লেখা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জনাব আব্দুল আজিজ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন — আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি – আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনিরুল ইসলাম আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ ইবনে বিন গুলশান, বড় লেখা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উলজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম, নাগরিক ফোরামের সদস্য আলামিন সরকার, মোঃ মাইনুদ্দিন মিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । সঞ্চালনায় ছিলেন জুয়েল রহমান ও ওসামা । প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তিনি শুধু স্বাধীনতা ঘোষণাই দেননি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখে যুদ্ধ করে এদেশের স্বাধীনতা এনে দেন। তিনি আরও বলেন এই দেশ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশ, এদেশ আমার আপনার সকলের দেশ। সেদিন ঘাতকরা, স্বাধীনতার শত্রুরা মনে করেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে পারলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নামক সংগঠন এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম এদেশ থেকে মুছে যাবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বিশ্বাস যারা করেনা, বাংলাদেশকে বিশ্বাস যারা করেনা তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন – তোমরা আমাদের ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সহ বিএনপির শত শত নেতা কর্মীকে খুন গুমের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে নিঃশেষ করে দিতে চেয়েছিলে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে এদেশে আওয়ামীলীগের কোন ষড়যন্ত্রই টেকেনি । বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আতিতের চেয়ে অনেক শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মুক্তি, সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার ফেরতসহ সকল অনিয়ম, নির্যাতন, দূর্নীতি দুঃশাসনের অবসান হবে বলে তিনি মনে করেন।