লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে শকুনের থাবা।
কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকির সম্মুখীন।
বাংলাদেশের রাবার শিল্প প্রায় শতভাগ আমদানি নির্ভর এক বিশাল শিল্প খাত। বাংলাদেশের রাবার শিল্পের কাঁচামাল যোগান দিতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে এর কাঁচামাল আমদানি করতে হয়।খরচ হয় অভিবাসী আয়ের এক বৃহৎ অংশ। চাপ পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে ধীরে ধীরে রাবার শিল্পে দেশীয় কাঁচামাল সরবরাহের চ্যালেনঞজ নিয়ে দেশের ৬৪ জন উদ্যোক্তা সরকার থেকে ২৫ একর করে জমি লিজ নিয়ে দেশের পার্বত্য অঞ্চল বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় সরই ইউনিয়নের ডলুই ছড়ি মৌজায় গড়ে তুলেন লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ। যেখানে উদ্যোক্তা সেখানেই শিল্প, সেখানেই কর্মসংস্থান। এভাবেই শুরু হয় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার এক প্রত্যন্ত অঞ্চল সরই এ এক আনন্দঘন কর্ম পরিবেশ।
ইতিমধ্যে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ এর উদ্যোক্তাগণ তাদের লীজকৃত ১৬০০ একর জমির মধ্যে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ৮০০ একরের উপর বাগান সম্পন্ন করেছেন। শুরু হয়েছে ৮০০ একরে বানিজ্যিক ভাবে রাবার চাষ। আরো ৪০০ একরে চলছে বাগান সৃজনের এক বৃহৎ কর্ম উদ্যোগ। এভাবেই পার্বত্য জেলা বান্দরবানে হয়ে উঠে পাহাড়ী বাঙালির সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সু ভাতৃত্বের এক মুর্ত প্রতীক।
শান্তিপূর্ণ পাহাড়,পাহাড়ে কর্মসংস্থান,কর্ম পরিবেশ সম্প্রীতি ও সৌভাতৃত্ব পছন্দ হয়নি একটি স্বার্থান্বেষী মহলের। বারবার লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজে হামলা, মিথ্যা মামলা, লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের লীজকৃত জায়গায় অবৈধ পাড়া সৃষ্টি প্রভৃতির মাধ্যমে হয়ে উঠে শান্তিপূর্ণ পাহাড়ি পরিবেশ অশান্ত। ধ্বংস হয়ে যায় কর্মপরিবেশ, স্তব্ধ হয়ে যায় পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন।
চলমান ঘটনাবলী সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে পাওয়া যায় পিলে চমকানো অবিশ্বাস্য তবে বাস্তবসম্মত তথ্য প্রমাণাদি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধি, স্কুল, কলেজের শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম সহ সর্বসাধারণের বক্তব্য একই।
পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন বন্ধ করা, শান্ত পাহাড়কে অশান্ত করা, লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ম পরিবেশ ধ্বংস করা সর্বোপরি লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের লীজকৃত জমি অবৈধভাবে দখল করা – এই সমস্ত কর্মকান্ডের পিছনে রয়েছে এক ব্যক্তি ও তার প্রতিষ্ঠান।
ব্যক্তিটি হচ্ছেন মহাজাতক শহীদ আল বোখারী। আর প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। মহাজাতক শহীদ আল বোখারী সাহেব সমন্ধে জানা যায় তিনি তার বংশ পরিচয়, পিতৃ প্রদত্ত নাম, শৈশব, কৈশোর সবকিছু অস্বীকার করে সম্পূর্ণ নতুন পরিচয়ে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তার পিতৃ প্রদত্ত নাম এ বি এম শহীদুল আলম সিকদার দুলু। তার কর্ম জীবন শুরু হয়েছিল পাকিস্তান পোস্ট অফিসের দৈনিক মুজুরীর ভিত্তিতে পিয়ন হিসেবে।
দৈনিক মুজুরীর ভিত্তিতে পিয়ন, পিয়ন থেকে দৈনিক আযাদের পার্ট টাইম প্রুফ রিডার, স্বাধীনতার পর সিরাজ সিকদার এর সর্বহারা পার্টিতে যোগদান, নরহত্যা, পলাতক জীবন যাপন, হস্ত রেখাবিদ, যোগবিদ, মেডিটেশন চর্চা, কোরআন এর অপ ব্যাখাকারী, ভূমিদস্যুসহ এক বহুমাত্রিক ভন্ড চরিত্রের হয়ে উঠা, মহাজাতক শহীদ আল বোখারী সমন্ধে আমরা ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের কে জানাব।