তারিখ ঃ ৫ আগস্ট ২০২২
৬ আগস্ট বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর আত্মার প্রতি জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা। কবি রবীন্দ্র্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত প্রতিভা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে নিজ প্রতিভার আলোয় বিশ্বমানে উন্নীত করেছিলেন তিনি। তার সৃষ্টিকর্ম শুধুমাত্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলেই নয়, সারাবিশ্বে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তাঁর অবদান পরিপুষ্ট হয়ে উঠেনি। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সুখ, দুঃখ, আনন্দ-বেদনা তাঁর লেখনিতে অনন্যভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁর সাহিত্যভুবনে দেশমাতৃকা ও মানুষের জীবন-ই প্রধান উপজীব্য। প্রকৃতি ও মানব প্রেমে সিক্ত তাঁর সাহিত্যকর্ম। তাঁর রচিত গান আমাদের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পাওয়ায় আমরা গর্বিত। তিনি বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। জনসমাজে সংঘাত, হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ এর কারণে যে গ্লানি ও তিক্ততা বিদ্যমান, সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য তাঁর অমূল্য সৃষ্টিকর্ম আজও নিঃসহায় মানুষকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগায়।
আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।”
৬ আগস্ট কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী
”কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর উজ্জল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। স্মরণ করি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব সাহিত্যের মর্যাদায় উন্নীত করতে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখক ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের একজন। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সংগীত রচয়িতা ও সুরকার। কবি রবীন্দ্রনাথ শুধু কবিই ছিলেন না, ছিলেন-সমাজ, রাজনীতি ও সামাজিক সম্প্রীতির অক্লান্ত ভাষ্যকার যা তিনি সাহিত্য ও কর্ম জীবনের শুরু থেকে আমৃত্যু করে গেছেন।
তাঁর রচনায় সমাজ চেতনা ও মানব প্রেমের শ্বাশত বাণী বিধৃত হয়েছে।
শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা মানুষকে চিরকাল মানবপ্রেম ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”