বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৬নং ফরিদপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাতশালা গ্রামের চৌরাস্তা সংলগ্ন ও মালাকার বাড়ির সামনের রাস্তার সরকারি গাছ কেটে ফরেস্টার মনিন্দ্র নাথ হালদার ইটভাটায় বিক্রির করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়- গত (১৫ মার্চ) বুধবার উপজেলার ৬নং ফরিদপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভাতশালা গ্রামের চৌরাস্তা বাজারের পশ্চিম পাশের রাস্তার পাশ থেকে ৩টি মেহেগনি গাছ ও ১টি চাম্বল গাছ এবং মালাকার বাড়ির সামনের রাস্তার দুই পাশ থেকে চাম্বল, মেহগনি ও আকাশ মনিসহ বিভিন্ন জাতের সরকারি গাছ ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়াই কেটে ইটের ভাটায় বিক্রির করেন ওই এলাকার মৃত সেকান্দার গাজীর ছেলে মোঃ জামাল গাজী (৪৬) ও মোঃ বারেক সন্ন্যামতের ছেলে বাবলু সন্ন্যামত (৪০)। পরে তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান ফরেস্টার মনিন্দ্র নাথ হালদার ওই গাছ কেটে বিক্রি করতে বলেছেন। তাদের গাছ কাটার জন্য কোন লিখিত অনুমতি দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এ বিষয়ে জামাল গাজী ও বাবলু সন্ন্যামতের সাথে কথা হলে তারা সাংবাদিকদের জানান- আমাদের সরকারি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে বলেই আমরা গাছ কেটেছি। কে গাছ কাটতে অনুমতি দিয়েছেন এবং কতগুলো গাছ কেটেছেন জানতে চাইলে তারা বলেন- আমরা ৩৪টি গাছ কেটেছি এবং ফরেস্টার মনিন্দ্র নাথ হালদার কাটতে বলেছেন।
সরকারি গাছের ১৬০ মন কাঠ কালামের ইট ভাটায় বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেন বাবলু সন্ন্যামত ও জামাল গাজী।
এলাকাবাসী জানান- জামাল গাজী চেয়ারম্যানের লোক বলে ভয়ে তার সামনে কেউ কথা বলে না এবং স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময় নানা অপকর্ম করেও পার পেয়ে যায়। এদিকে ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল গাজী একটি কোম্পানির ড্রাইভার হিসাবে চাকরি করেন সে এলাকায় থাকেনা বলে তার দায়িত্ব পালন করেন জামাল গাজী।
এলাকাবাসী আরও জানান- অনেক গাছ কেটেছে তারা, গাছের গোড়ায় রাস্তার বেট কাটার মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেছে ও কোন গাছের গোড়ার কোন অস্ত্বিত্ব নেই।’
এ ব্যাপারে ফরেস্টার মনিন্দ্র নাথ হালদারের কাছে গাছ কাটার বিষয়ে ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া গাছ কাটার অর্ডার কে দিয়েছে এবং সরকারি গাছের কাঠ ইটভাটায় কিভাবে গেল জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপর মালাকার বাড়ির সামনে দেড় কিলোমিটার লম্বা নতুন রাস্তার দুই পাশে কতগুলো সরকারি গাছে নম্বর দেয়া আছে জানতে চাইলে বলেন- ১৯০ টি। এদিকে জামাল গাজী ও বাবলু সন্ন্যামত ৩৪ টি গাছ কেটেছেন আর রাস্তার দুই পাশে ১০১পিস গাছ রয়েছে বাকি ৫৫টি গাছ কোথায় গেল সে বিষয়েও তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে ৬নং ফরিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুর রহমান বলেন- বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনি ফরেষ্টারের সাথে কথা বলেন।