যাত্রীরা রাত্তিরে হ’তে এল খেয়া পার, বজ্রেরি তূর্ষে এ গর্জেছে কে আবার? প্রলয়েরি আহবান কে বিষাণে? ঝঞ্ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈমানে।
নাছে পাপ-সিন্ধু তঙ্গ তরঙ্গ। মৃত্যুর মহানিশা উলঙ্গ! নি:শেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে, ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নি:স্বে!
তমসাবৃতা ঘোরা ‘ কিয়ামত’ রাত্রি, খেয়া-পারে আশা নাই,ডুবিল রে যাত্রী! দমকি’ দমকি ‘ দেয়া হাঁকে, কাঁপে দামিনী, শিঙ্গার হুঙ্কারে থরথর যামিনী ! লঙ্গি ‘ এ সিন্ধুরে প্রলয়ের নৃত্যে ওগো কার তরী ধায় নির্ভিক চিত্তে – অবহেলি’ জলধির ভৈরব গর্জন, প্রলয়ের ডঙ্কার ওঙ্কার তর্জন।
পুণ্য -পথের এ যে যাত্রীরা নিস্পাপ, ধর্মেরি বর্মে সুরক্ষিত দিল্ – সাফ্!
নহে এরা শঙ্কিত বজ্র নিপাতেও ; কান্ডারী আহমদ, তরী ভরা পাথেয় !
চলমান—