১৬ মার্চ ২০২৪ ইং রোজ শনিবার।
‘দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই মামুনুল হককে বন্দী করেছে’
বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস
আজ (১৬ মার্চ’২৪, শনিবার ) সকাল ১০ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক এর দীর্ঘ কারাবাসে উদ্বিগ্ন ছাত্রজনতার অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা অবগত আছেন, এ দেশের জনপ্রিয় নেতা মামুনুল হককে সরকার বিনা অপরাধে কারারুদ্ধ করে রেখেছে দীর্ঘ তিনবছর যাবত। তার জনপ্রিয়তাকে কমানোর জন্য সরকার বিভিন্ন বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা তার নামে দায়ের করেছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে, তিনি শুধু দেশের একজন সাধারণ নাগরিক না। তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক। তিনি একজন বিপ্লবী সংগঠক। তিনি শুধু ছাত্র মজলিসের নেতা নয়; যুব মজলিসের নেতা নয়; তিনি সারা দেশের নেতা। সরকার মামুনুল হককে গ্রেফতার করে ভুল করেছে। মামুনুল হক দেশের নাগরিক হিসেবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে জামিনের অধিকার রাখে। কিন্তু জালেম সরকার জামিন না দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছি। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, বিচার ব্যবস্থা আজ সরকারের হাতে জিম্মি।
তিনি আরো বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশরা বিতারিত হয়েছে। কাজেই এবারও ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হঠাতে হবে। ৭০ এ ভারতের গোলামি করার জন্য আমরা দেশকে স্বাধীন করিনি। ঈদের পূর্বে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দেয়া হলে ছাত্র জনতা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন বলেন,
এ সরকার বিগত ১৫ বছর যাবত জুলুমের শাসন চালাচ্ছে, যার বর্ণনা এ স্বল্প সময়ে দেয়ার সম্ভব নয়।
পিলখানার হত্যাকান্ড, শাপলা চত্বরে ইতিহাসের কালো অধ্যায়, প্রহসনের নির্বাচন আর মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে যে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করেছে মানুষ তা ভুলে যায়নি।
তিনি আরো বলেন, এ সরকার আলেমদের বন্দি করে নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ করেছে। দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই মামুনুল হককে বন্দী করেছে। ইতিমধ্যে অনেকে মুক্ত পেলেও মাওলানা মামুনুল হক এখনও মুক্তি পাননি। তার দোষ একটাই, তিনি দেশকে ভালোবাসেন, দেশের স্বাধীনতার কথা বলেন, দিল্লিকে যারা ভালোবাসে তাদের এটা পছন্দ হয়নি। যারা এ দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর স্বপ্ন দেখছেন, আমাদের রক্ত থাকা পর্যন্ত তা সম্ভব হবে না।
কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ ও দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী সভাপতি ও খেলাফত ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, মাওলানা আল আবিদ শাকির, মাওলানা জাকির হুসাইন, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন লাবীব ও মাওলানা মোল্লা মুহাম্মাদ খালিদ সাইফুল্লাহ।
ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন থেকে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজামুদ্দীন আল আদনান, জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হুসাইন নূর ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মাদরাসা কার্যক্রম সম্পাদক মুহাম্মাদ কেফায়েতুল্লাহ।
আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ, সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দিকী, বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মুফতি শহীদুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাগর, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন ও কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য আশরাফুল ইসলাম সাদসহ কেন্দ্র মহানগরের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীলবৃন্দ।