কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৮ বছর!
অপহরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার দাবি সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. দিলরুবা নূরী এক যুক্ত বিবৃতিতে কল্পনা চাকমা অপহরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার দাবি করেন।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের তৎকলীন সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা ১৯৯৬ সালের ১২ জুন মধ্যরাতে রাঙামাটির নিউলাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহরণের শিকার হন। পরের দিন কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় অপহরণের মামলা করেন। বিগত ২৮ বছরে অপহরণের তদন্ত কাজ শেষ হয়নি। গ্রেফতার হয়নি অপরাধী। বরং কল্পনা চাকমার অপহরণকারী লেফটেন্যান্ট ফেরদৌস ও তার সহযোগীরা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন। অথচ দীর্ঘ প্রায় তিন দশক বিচারের কাজ ঝুলে থাকার পর গত ২৩ এপ্রিল মামলাটি খারিজ করেন আদালত। এর আগে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদী নারাজি আবেদন করেছিলেন। সে আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। মামলা খারিজের মাধ্যমে এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একপ্রকার দায়মুক্তি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচারহীনতার সংস্কৃতির এক নতুন নজির তৈরি হলো।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৮ বছর পার করেও কল্পনা চাকমা হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। এর দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। পাহাড়ে যে অস্থিতিশীলতা রাষ্ট্র তৈরি করে রেখেছে তা একটি স্বাধীন দেশের চরিত্র হতে পারে না। কল্পনা চাকমা অপহরণ বিচারহীনতার একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। আর যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের আন্দোলন করছেন কল্পনা চাকমা তাদের কাছে সংগ্রামের প্রতীক।