1. [email protected] : editor :
  2. [email protected] : facfltd :
  3. [email protected] : FagTrEwL :
  4. [email protected] : newseditor :
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সচ্চিদানন্দ সেন গুপ্ত এর সংবাদ সম্মেলন - news ATV
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সচ্চিদানন্দ সেন গুপ্ত এর সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
  • ৩ Time View

মোঃ মামুন: ১৫ই জুন ২০২৫ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২য় তলায় সাগর-রুনি মিলনায়তনে সচ্চিদানন্দ সেন গুপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি একজন সংখ্যালঘু নাগরিক ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ধারী, Institute of Chartered Accountants of Bangladesh (ICAB) এর একজন সদস্য । আমার শৈশব কেটেছে কক্সবাজারের মাটি ও মানুষের সাথে। জীবনের একটা অংশ আমি ও আমার পরিবার কক্সবাজারেই ব্যয় করেছি। সেই সময়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে আমার পিতা নৃপেন্দ্র মোহন সেন গুপ্তের নামে অনেক জমি ক্রয় করেন। সেই ধারায় কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টেও ২ দশমিক শূণ্য ৩ একর জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে ভোগদখলে রয়েছে। ১৯৭৭ সালে এই জমি সরকার ‘অর্পিত সম্পত্তি’ হিসেবে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে আমরা মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং ১০৬৫৭/২০২৪ দায়ের করি এবং গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে হাইকোর্ট জেলা প্রশাসক কক্সবাজারসহ ৯ জনকে উদ্দেশ করে উক্ত জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলাটি সর্বশেষ ২৮ মে ২০২৫ তারিখে হাইকোর্টের কার্যতালিকার চূড়ান্ত শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১২ মে ২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক কক্সবাজারের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিষয়টি তুলে ধরি কোর্টের বিষয়ে জেলা প্রশাসন কোন হস্তেক্ষেপ করবেন না বলে আশ্বাস দেন। পরদিন ১৩ মে সকালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে তিনি আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দেন ৷ ১২ মে ২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক কক্সবাজারের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিষয়টি তুলে ধরি কোর্টের বিষয়ে জেলা প্রশাসন কোন হস্তেক্ষেপ করবেন না বলে আশ্বাস দেন। পরদিন ১৩ মে সকালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে তিনি আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দেন ৷ লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার ২ দিন আগে হঠাৎ করে জেলা প্রশাসনের এলআর ফান্ডের নামে এক কোটি টাকা দাবি করা হয়। এত বিপুল টাকা তাৎক্ষণিকভাবে জোগাড় করা আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এবং তাদের চাহিদা মতো টাকা ঈদের পরে ব্যবস্থা করার কথা বললে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। হয়তো সেই ক্ষোভ থেকে মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার আদেশ থাকার পরও তা অমান্য করে। এমনকি মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ জেলা প্রশাসনের পক্ষে রায় দিয়েছে বলে মিথ্যা ও ভুল তথ্য গণমাধ্যমে দিয়ে (যদিও মহামান্য হাইকোর্টের সেই আদেশের কপি এসিল্যান্ড গণমাধ্যমে দেখাতে পারেনি ) পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির প্রথম দিন ৫ জুন ২০২৫ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিনের নির্দেশে এবং কক্সবাজার সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) জনাবা শারমিন সুলতানা, কউক সচিব জনাবা সানজিদা বেগম, আনসার বাহিনী, পুলিশ ও শ্রমিক বাহিনী নিয়ে আমার জমিতে বুলডোজার চালিয়ে চারপাশের সীমানা প্রাচীর, বসবাসরত কেয়ারটেকারদের ঘর ও অন্যান্য স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। এসময় আমার যাবতীয় মালামাল নিয়ে যাওয়া হয়। এতে আমার অন্তত ২ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ভাংচুর মহামান্য হাইকোর্টের আদেশকে বৃদ্ধআঙ্গুলি দেখানোর সামিল, যা নজিরবিহীন ও নিন্দনীয় ঘটনা ৷ একটা চিহ্নিত ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এবং তাদের খুশি করতে আমার জমিটা ভাগবাটোয়ারা করার কু-মানসে এমন একটি ঘটনার জন্ম দিল জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমার জমির একটি অংশ (প্রায় ৩০ শতক) কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী নাজনিন সরওয়ার কাবেরী অবৈধভাবে দখল করে সেখানে বেআইনী ভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। জমিটির বাজারমূল্য প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকা । জমিটা উদ্ধারে আমি ভূমি প্রতিরোধ আইনে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটনা অ।পালত, কক্সবাজারে মামলা দায়ের করেছি, যা এখন বিচারাধীন রয়েছে। সাবেক এমপি কমলের নেতৃত্বে একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল। এই সিন্ডিকেটের সাথে প্রশাসনের একটি অংশ সরাসরি জড়িত। কক্সবাজার সদর উপজেলা ভূমি অফিসে আমার জমির খতিয়ানসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলা ও আমার জমি নিয়ে নানান জালিয়াতি করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বৃত্তিতে সংশ্লিষ্ট ০৮ জনের বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দায়ের করি যা বর্তমানে দুদক কর্তৃক তদন্ত চলমান রয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের প্রতি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি অনুরোধ জানান। প্রশাসনিক ও ভূমিদস্যুদের হয়রানি থেকে মুক্তি চাই৷ আমার পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় এবং জালিয়ত চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কারণ জেলা প্রশাসন ও প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা সংঘবদ্ধ হয়েছে- আমি একজন সংখ্যালঘু হিসেবে তাদের কাছে অসহায় হয়ে গেছি। এভাবে চলতে থাকলে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। আমি বৃদ্ধ বয়সে এসে আর হয়রানি হতে চাই না ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 LiveTV
Theme Customized By LiveTV