শোনেন, বাংলাদেশে আর কোনো সিস্টেম ঠিক হবে না এটা মেনে নেন। ৫৪ বছরে যা হওয়ার হইছে৷ কিন্তু গত এক বছরে একটা সুযোগ এসেছিল সিস্টেম গুঁড়িয়ে নতুন করে শুরু করার। কিন্তু সেটা যে হবে না তা মোটামুটি স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ গন কেস। তাদের আমি এখন আর হিসাবেই ধরি না। কিন্তু এরপরও সামনে যে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখতেছি না। আপনারা আমাকে প্যাসিমিস্ট বলে গালি দিতে পারেন, আপত্তি করব না৷ কিন্তু যারা ক্ষমতা নিছেন, কাছাকাছি গেছেন এবং সামনে যাবেন তারা আসলে কি করছেন! কিছুই না। একটা সুযোগ হাতের কাছে এসেছিল কিন্তু আপনারা সেটা পা দিয়ে ঠেললেন। একটা বছর যা খুশি তাই করলেন। সংস্কারের নামে অহেতুক মুলা ঝুলিয়ে রাখলেন৷ আমার মনে হয় না, এই রাষ্ট্র সংস্কার করা সম্ভব। এইটা ফেইল্ড স্টেট৷ হ্যাঁ, আশা দেখতাম যদি সামনে যারা আছেন তারা তেমন কিছু করে দেখাতে পারতেন৷ পুরোনোদের কথা বাদ দিলাম, নতুনদের অবস্থাও যা তা৷ পপুলিজম সব দলকে রীতিমতো জোঁকের মতো চেপে ধরছে। কিছু রেটরিক কথা ছাড়া প্রাগমাটিক ও র্যাশনাল কোনো আলাপ কোনো দলের নাই। কোনো দলের মধ্যেই শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি নিয়ে কোনো গঠনমূলক আলাপ নাই। ধর্মকে যে যেভাবে পারতেছে লেবাস হিসেবে নিছে! অথচ সেটাও যদি নিজেদের বিশ্বাস ও আস্থা থেকে সৎভাবে করত তাহলে নিজেকে অন্তত বুঝ দিতে পারতাম। কিন্তু এগুলো স্রেফ আবরণ। ক্ষমতায় যাওয়ার ধান্দা। ফলে দিন শেষে এই রাজনীতির ভিক্টিম হচ্ছে সাধারণ জনগণ। আমাদের পেছনে কোনো আশা ছিল না, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সামনেও কোনো আশা দেখছি না। এত এত বাচ্চার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আশা করার মতো শক্তিও আসলে আমার নাই।