নিজস্ব প্রতিবেদক: মঙ্গলবার ২৯শে জুলাই ২০২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খা হলে আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি লিঃ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মোঃ আখতারুজ্জামান খাঁন এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি মোঃ আখতারুজ্জামান খাঁন, পিতাঃ মরহুম হাজী আঃ লতিফ খান, মাতাঃ মৃত হাজী লতিফুন্নেসা, সাং গোলাপবাগ, পোঃ মমিনখার হাট, খানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ ফরিদপুর, হাল ঠিকানাঃ বাড়ী নং ৯৭, রোড- ১৩/এ, ব্লক- সি, বনানী, ঢাকা- ১২১৩। আপনার সদয় অবগতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করিতেছি যে, আমি একজন আমেরিকা প্রবাসী। আমি ঢাকায় শেরে বাংলা নগরস্থ আই.ডি.বি ভবনের বি.সি.এস কম্পিউটার সিটির এস.জি.আর ৩১ ও ২২নং দোকান ভাড়া নিয়া ২৭ বছর যাবৎ অত্যন্ত সুনামের সহিত “আইমার্ট কম্পিউটার টেকনোলজি লিঃ” ও “কম্পিউটার মার্ট ইনক” নামে কম্পিউটার ব্যবসা পরিচালনা করিতেছিলাম । আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ২টি তে প্রায় ১০ (দশ) কোটি টাকার মালামাল ছিল, আমি একজন ভিন্ন মতের অবলম্বি হওয়ায় স্বৈরাশাসকের দোসর জনাব নিয়াজ খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ ইসলা-ি মক সলিডারিটি এডুকেশনাল ওয়াকফ, সাং ই-৮/এ, রোকেয়া স্বরনী, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা। আমি ভিন্ন মতের অনুসারী হিসেবে স্বৈরশাসকের মদতপ্রোষ্ট জনাব নিয়াজ খান। আমার ব্যবসা ২টি বন্ধ করিয়া দিয়া আমার আর্থিক ও ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধিত করে। যেকোন উপায়ে উহা আত্মসাতের সুযোগ খুঁজিতে থাকে। আমার ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্রের মেয়াদ ৩০/০৬/২০১৬ইং তারিখ পর্যন্ত থাকায় আমি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তিপত্র নবায়নের নিমিত্ত বার বার অনুরে- াধ করিলেও তিনি চুক্তিপত্র নবায়নের উদ্দ্যোগ গ্রহন করে না। আমার সহিত ভাড়ার চুক্তিপত্র নবায়ন না করিয়া জুলাই’২০১৬ আগষ্ট ২০১৬ এর ভাড়া নিয়মিত গ্রহন করেন। এর পরেও আমার দোকান ২টি ৩১ আগস্টের রাতে বিনা নোটিশে তালা মারিয়া আমাকে বিতারিত করে । আমি আমেরিকা থাকায় ফোনে তাহার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, যোগাযোগের কোন সুযোগ না দিতে অস্বীকার করায় বিগত ইং ৩১/০৮/২০১৬ তারিখে রাত ৮:৩০ ঘটিকায় আমার কর্মচারীগন দোকানে নিত্যদিনের মত তালা দিয়া চলিয়া গেলে রাত ৮:০০ ঘটিকার পর হইতে ইং ০১/০৯/২০১৬ তারিখ সকাল ৮:০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী আমার দোকানের তালা ভাংগিয়া আমার দোকানে রক্ষিত (১) এইচপি ল্যাপটপ ৪৬০টি, মূল্য ৩,৬৮,০০০,০০/- টাকা (২) জেল ল্যাপটপ ১৮০টি, মূল্য ১,২৬,০০০,০০/- টাকা; (৩) এসিইআর ল্যাপটপ ৮০টি, মূল্য ৪৮,০০,০০০/- টাকাঃ (8) লেনেভো ল্যাপটপ ৬০টি, মূল্য ৪২,০০,০০০/- টাকা, (৫) ডেন্দ্রটিশ কম্পিউটার (বিভিন্ন ব্র্যান্ডের) ৪০টি, মূল্য ২৪,০০,০০০/- টাকা: এইচপি প্রিন্টার ১৩০টি, মূল্য ২৮,৬০,০০০/- টাকাসহ মাদারবোর্ড, হার্ডড্রাইভ, র্যামসহ নানাবিধি কম্পিউটার এক্সেসরিজ, যাত্রার মূল্য ১,২৮,০০,০০০/- টাকা। সাকুল্যে ৮.৮১,৬০,০০০/- টাকার জিনিসপত্র লুট করিয়া নিয়া যায় এবং দোকানে নতুন তালা লাগিয়ে দেয়। ০১/০৯/২০১৬ ইং তারিখে ৯:৩০ ঘটিকায় আমার কর্মচারীগন দোকান খুলিতে গেলে নতুন তালা দেখিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি তাহার প্রভাব বিস্তার করিয়া দোকান খুলিতে বাধা দেয় এবং আমার কর্মচারীদের নানাবিধ হুমকি দেয়। আমি আমেরিকা থাকায় কর্মচারীগন আমাকে ফোনে বিষয়টি জানাইলে আমি ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি তৎকালীন সরকারের আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ায় এবং আমি বিরোধী রাজনীতি করায় তখন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আমি ব্যর্থ হই এবং ক্ষতিগ্রস্থ হই। ৫ই আগষ্ট ২০২৪ আমেরিকা থেকে আসিয়া আমি একটি সিআর মামলা দায়ের করি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মর্জি হয়।