চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছে দলের চারজন প্রভাবশালী ও পরিচিত মুখ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসন থেকে মনোনয়ন পেতে যাঁরা মাঠে সক্রিয়, তাঁরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেশ পরিচিত।

১. আলহাজ্ব এম এ হান্নান
ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান,বিশিষ্ট শিল্পপতি, ও দানবীর, সমাজসেব হিসেবে পরিচিত আলহাজ্ব এম এ হান্নান,ফরিদগঞ্জে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার নেতৃত্বেই বিএনপি প্রত্যেকটা অঙ্গ সংগঠন সক্রিয়। স্থানীয় পর্যায়ে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তাঁকে এই আসনে অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনায় আনছে।

২. লায়ন মোঃ হারুন উর রশিদ
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন মোঃ হারুন উর রশিদ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তাঁর অবস্থান।

৩. মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারীও এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং দলের প্রতি নিষ্ঠা তাঁকে একটি শক্ত অবস্থানে রেখেছে। তিনি এলাকায় সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়।

৪, লায়ন আল আমিন :  তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান ফরিদগঞ্জ বিএনপির সদস্য। তুলনামূলক বয়স কম তরুণ স্মার্ট এই মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরিদগঞ্জের যুবসমাজের মধ্যে তার অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তার অভিজ্ঞতা বিচক্ষণতা এবং কর্ম দিয়ে।

তিনি কজন সফল ব্যবসায়ী স্পিডি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রযুক্তিবিদ সমাজসেবায় ও তার অসামান্য অবদান রয়েছে দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের আশা প্রত্যাশা আশ্রয় এবং ভরসা শেষ স্থল। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মানিত সদস্য এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের একজন সন্মানিত সদস্য । তিনি একজন গবেষক, কলাম লিখক যার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে সর্বত্র সমাদৃত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণ্যের প্রতিনিধিত্ব করতে যতগুলো গুণাবলীর প্রয়োজন তার সবটুকুই এই তরুণ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছে বলে মনে করে উপজেলা তরুণ প্রজন্ম।

৫, কাজী রফিক, সদস্য,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, সাবেক সফল কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক, সাবেক সফল যুবদলের দপ্তরর সম্পাদক, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একজন আদর্শের সৈনিক, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকা রাজপথ থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন, নিজের কথা না ভেবে দলকে ভালোবেসে হামলা মামলাও নির্যাতনের শিকার হয়েও দলের জন্য পিছ পাও দেননি। তিনি আমাদের ফরিদগঞ্জ উপজেলারই কৃতি সন্তান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে তিনি মাঠে ময়দানে কাজ শুরু করেছেন।

৬, এডভোকেট আব্বাসউদ্দিন, সাবেক সফল সভাপতি ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে,চাঁদপুর ৪ ফরিদগঞ্জ এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী তবে তিনি এখনোও মাঠে ময়দানে সক্রিয় হচ্ছেন না রাজনৈতিকভাবে, তবে ফরিদগঞ্জে তার পরিচিতি আছে।

চাঁদপুর-৪ আসনটি বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এ আসনে বিএনপির বর্তমানে মোট ৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্য থেকে দলীয় হাইকমান্ড কাকে নির্বাচিত করবেন, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ইতোমধ্যে প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে মাঠে সক্রিয় হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

ফরিদগঞ্জ এই আসনটিতে বিএনপি থেকে নমিনেশন প্রত্যাশিদের মধ্যে লায়ন আল আমিন তুলনামূলক একেবারে তরুণ হলেও বাংলাদেশের রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক ভু-রাজনৈতিক জ্ঞান অর্জন এবং গবেষণার দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।