জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশের ঐক্যের রাজনীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত ।
১৯৭১ সালে যারা ভারতের সম্রাজ্যবাদকে ভয় করেছিল, তারা পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল,
তাদের সেই অবস্থান ছিল ভুল।
কিন্তু স্বাধীনতার পর তারা আর কখনো বলেনি—
“বাংলাদেশ মুছে দাও, পাকিস্তান চাই।”
বরং তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশ নিয়েছে,বাংলাদেশের ভেতরেই টিকে থেকেছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো যারা “স্বাধীনতার চেতনা”র নামে আজকে শাসন করছে, তারা কি করেছে? নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। আইন-শাসন ধ্বংস করেছে।
বিচারব্যবস্থাকে দাসে পরিণত করেছে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছে।
বিরোধীদলকে গুম-খুন-ক্রসফায়ার করেছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় কব্জায় নিয়ে গেছে।
এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
এটাই কি স্বাধীনতার চেতনা?
এটাই কি গণতন্ত্র?
এটাই কি মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল?
আওয়ামী লীগ ভারত নির্ভর রাজনীতি থেকে কোনদিন বের হয়ে আসতে পারেনি আওয়ামী লীগের কোন সংশোধন হয়নি।
যাদেরকে তারা আজ “রাজাকার” বলে গালি দেয়,
তাদের মধ্যে আমরা কি দেখেছি—
এই মাত্রায় গণতন্ত্র ধ্বংস?
এই মাত্রায় মানুষের উপর জুলুম-নিপীড়ন?
না!
অতএব প্রশ্ন উঠে যায়—
কে আসল শত্রু?
কে আসল বিশ্বাসঘাতক?
যারা একবার ভুল করেছে কিন্তু পরে দেশ চালিয়েছে, নাকি যারা স্বাধীনতার নামে আজও দেশ বিক্রি করছে,সার্বভৌমত্ব নষ্ট করছে,
ভারতের কাছে মাথা নত করছে?
আমাদের বুঝতে হবে—
রাজাকার শব্দটা আসলে ইতিহাসের,
ভোটচোর মানে যে ভোট চুরি করে,
স্বৈরাচার মানে যে জনগণের কণ্ঠরোধ করে।
দল যেই হোক, অপরাধ যদি করে,
তাহলে সে-ই রাজাকার, সে-ই স্বৈরাচার, সে-ই ভোটচোর।
তাহলে আমাদের করণীয় কি?
আমাদের ভাঙতে হবে বিভেদের দেওয়াল।
আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে ঐক্য।
জাতীয়তাবাদী ও ইসলামিক মূল্যবোধের মানুষকে এক হতে হবে।
শেখ হাসিনার ভ্রান্ত মতবাদ ধ্বংস হবে শুধু তখনই,
যখন আমরা এই শব্দের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসবো।
যারা নিজেদেরকে বড় বিএনপি মনে করেন রাজাকার শব্দ নিয়ে হৈচৈ করেন তাদেরকে বলব দা হতে দায়ের ডাট বড় হইতে যাইয়েন না। কারো সাথে আপনার ব্যক্তিগত শত্রুকে জাতীয় রাজনীতি কিংবা রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত করবেন না। বাংলাদেশ রক্ষায় বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামিক মূল্যবোধের বিশ্বাসী মানুষদের ঐক্য জরুরী। এই ঐক্য যত বিভাজিত হবে জাতীয়তাবাদ দেশে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব তত হুমকির সম্মুখীন হবে।
ধন্যবাদ।